আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি, যখন কুরআন-হাদিসের আলােকে শরিয়তের যেকোনাে মাসআলার অবাধে তাহকিকের অনুমতি নেই। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র তথা প্রতিষ্ঠিত কুফরি মতবাদগুলাের গায়ে আঁচড় লাগে বা এসবের সম্পূর্ণ বিপরীত কোনাে ইলমি তাহকিক, আলােচনা-পর্যালােচনা, কোনাে প্রচারপত্র, কোনাে বইপত্র, কোনাে ইলমি গবেষণা এখন মৌখিক ঘােষণার পাশাপাশি সাংবিধানিকভাবেই নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে কুফরিশক্তিও তার ষড়যন্ত্রের সকল জাল বিছিয়ে রেখেছে এবং সতর্ক দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখছে। সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের কর্ণধারগণও নিজেদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলেছেন এবং আত্মরক্ষার সকল কৌশল ব্যবহার করে চলেছেন। প্রয়ােজনে এমন কাজ না করে বা এমন কাজের নিন্দা করে হলেও আত্মরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন; কিন্তু শরিয়তের ফরজ দায়িত্বগুলাে তার যােগ্য ব্যক্তির হাতে তখনই বেশি শাণিত হয়, যখন সে বাধার সম্মুখীন হয়। আলাের মশাল তখনই অধিক দীপ্তিময় হয়, যখন আঁধার অনেক বেশি ঘনীভূত হয়। আঘাত তখনই লক্ষ্যভেদ করে যেতে পারে, যখন প্রতিপক্ষ আঘাতকে প্রতিহত করতে আসে। আর এর বাস্তবতাই আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। আলহামদু লিল্লাহ!
শত্রুদের শত্রুতার সর্বনিকৃষ্ট কুটিলতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সর্বোচ্চ শক্তির প্রদর্শন আমাদের দৃষ্টি এড়াচ্ছে না। তারা আমাদের চোখের সামনেই সর্বগ্রাসী আয়ােজন। সেরে নিচ্ছে। কুফর-শিরক ব্যাপকভাবে তার ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। অলিগলিতে, রাস্তার মােড়ে মােড়ে মূর্তিস্থাপন ও মূর্তিপূজা নিত্যদিনের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যারা মুমিনগগাষ্ঠীর কর্ণধার দাবি করে তাদের সঙ্গে আইম্মাতুল কুফরের অসম্ভব রকমের খাতির জমে উঠেছে। ইমানের দাবিদার ও তাদের নেতৃবর্গ ইমানি আন্দোলনবিরােধী অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনােপ্রকার রাখঢাকের প্রয়ােজনবােধ করছেন না।
Reviews
There are no reviews yet.